ডলার-সংকট থেকে এখনো বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়, এমন পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত এক বছরে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটও প্রকট হয়েছে। আবার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার শঙ্কা রয়েছে। এসব কারণে শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারি) আমদানি কমিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ফলে শিল্প স্থাপনের নতুন উদ্যোগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ মন্থর হয়েছে দেশে।
একাধিক ব্যবসায়ী নেতা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে যায়। এসব পণ্য আমদানিতে ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে ডলারের সংকট দেখা দেয়। অন্যদিকে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হতে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে রপ্তানি পণ্যের চাহিদা কমে যায়। চলতি বছর থেকে বিভিন্ন দেশ মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে। তবে বাংলাদেশে ডলার-সংকট দূর হচ্ছে না। গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ নিয়েও দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়া যাচ্ছে না। মূল্যস্ফীতিও ১০ শতাংশের আশপাশে আটকে আছে। সব মিলিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।