বিয়ে, শিশুর জন্ম, জন্মদিন, সুন্নতে খতনা (মুসলমানি), শিশুর প্রথম ভাত খাওয়ার অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন শুভদিনে এক সময় সোনার অলংকার উপহার দেওয়া রীতিতে পরিণত হয়েছিল। শুধু কাছের আত্মীয় নয়, কিছুটা দূরের আত্মীয়রাও শুভদিনে উপহার হিসেবে সোনার অলংকার দিতেন। বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা বিশেষ অনুষ্ঠানে ছোট আংটি, গলার চেইন, হাতের বালা অনেকটা হাসিমুখেই উপহার হিসেবে দিতেন।
সময়ের বিবর্তনে পাল্টে গেছে সেই দৃশ্যপট। সোনার অলংকার উপহার দেওয়ার সেই রীতি হারিয়ে গেছে অনেকটাই। কাছের আত্মীয়ের শুভদিনের অনুষ্ঠানেও এখন মানুষ একেবারে বাধ্য না হলে হাসিমুখে খুব একটা সোনার অলংকার উপহার হিসেবে দেন না। এর মূল কারণ সোনার অস্বাভাবিক দাম। এতটাই দাম যে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ছোটখাটো সোনার অলংকারও হয় না।
সোনার অস্বাভাবিক দামের কারণে শুধু মধ্যবিত্ত নয়, উচ্চবিত্তরাও অনেকে অলংকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। একেবারে বাধ্য না হলে এখন কেউ সোনার অলংকার কিনছেন না। ফলে অলংকার ব্যবসায়ও এক ধরনের মন্দা দেখা দিয়েছে।