আত্মহত্যা বিষয়টি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। কেবল বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীজুড়েই হত্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। করোনা-পূর্ববর্তী সময় থেকে প্রতিবছর সারা বিশ্বে ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যার মাধ্যমে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁদের জীবনে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে, সেগুলোকে সমাধান না করতে পেরে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। আমরা কী করতে পারি? শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা বলি, বিষয়টি নিয়ে আমাদের জানতে হবে, কথা বলতে হবে। আত্মহত্যার ঘটনা কেন ঘটে, তার কারণগুলো নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। তাহলে আমরা কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারব। কোথায় সেবা পাওয়া যায় এবং সেই সেবা যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে আত্মহত্যার প্রবণতা কমে যাবে।
আচরণে গুরুত্ব দিতে হবে
আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদের বিভিন্ন আচরণ থেকে আত্মহত্যার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তারা বিভিন্ন সময় বলে থাকে, এ জীবন রাখার ইচ্ছা তাদের নেই। সমাজে তাদের দরকার নেই। তারা চলে গেলে সবাই ভালো থাকবে, পৃথিবীটা শান্তিতে থাকবে। তারা পরিবারের বোঝা। অথবা তারা বলে থাকে, ‘আমি অপমানিত হচ্ছি। কারণ, আমার গার্লফ্রেন্ড অথবা বয়ফ্রেন্ড আমাকে ছেড়ে গেছে। আমি আর ভালোবাসার যোগ্য নই। আমি মরে যাব।’ আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষেরা বিভিন্নভাবে এ কথাগুলো প্রকাশ করে। এ বিষয়গুলোকেও আমাদের হালকাভাবে না নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে এবং তাদের বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে উৎসাহ দিতে হবে বেঁচে থাকার বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতার জন্য। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একে প্রতিরোধ করতে হবে।
বিষণ্নতা আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ায়
আমরা সব সময় দেখে আসছি, যখন আত্মহত্যার কোনো ঘটনা ঘটে, তখন সবাই জানতে চায়, এর কারণ কী। যদিও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সম্পর্কজনিত জটিলতা কিংবা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া কিংবা এমন কিছু কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু সেগুলো আসল কারণ নয়। তার মনে আগে থেকেই এমন কিছু ছিল। কেউ যখন বিভিন্ন কারণে বিষণ্নতা বা মানসিক সমস্যায় ভোগে, তখন আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়।