ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের নবাব আলী পেশায় একজন ভ্যানচালক। মা, স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার। দুটি বড় হাঁস আছে জানিয়ে নবাব আলী বলেন, ‘দুই-তিন মাস আগে আঁশে (হাঁস) ছয়-সাতটা ডিম দিছিল। তারপর আর ডিম দিছে না। আঙ্গর কিইন্না (কিনে) খাওয়ার সামর্থ্য নাই।’
নবাব আলী ও তাঁর পরিবারের মতো স্বল্প আয়ের বহু মানুষের পাতে এখন আর ডিম পড়ে না বললেই চলে। অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ায় অনেকেই ডিম কিনে খেতে পারছেন না।
বাস্তবতা যখন এমন, তখন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, প্রতিবছরই ডিমের উৎপাদন বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট লোকজন বলছেন, উৎপাদন বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম কমে আসে। অথচ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ডিমের বাড়তি উৎপাদন দেখালেও দাম বেড়েই চলেছে। ফলে অধিদপ্তরের হিসাবে গলদ আছে।