বিএনপির এক দফার আন্দোলন ক্রমান্বয়ে নির্বাচন অভিমুখী হয়ে পড়ছে বলে মনে হচ্ছে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের এই এক দফার আন্দোলন গত জুলাই মাসে শুরু করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে মাস দুয়েক যেতে না যেতেই এই আন্দোলনে একদিকে যেমন কর্মসূচির খরা দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে তেমনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির অনেক নেতা, যাঁরা অতীতে নির্বাচন করেছেন এবং নির্বাচিত হয়েছেন, আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছেন। ধারণা করা যায়, তাঁরা দলের কোনো সংকেত পেয়ে থাকবেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও কয়েক দিন আগে বলেছেন, এবার আর আওয়ামী লীগকে ওয়াকওভার দেওয়া হবে না। স্পষ্টতই এ কথার অর্থ বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে থাকবে। আওয়ামী লীগকে তো আর আন্দোলনের মাঠে ওয়াকওভার দেওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। কেননা আওয়ামী লীগ তো সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্যই বদ্ধপরিকর। কাজেই বিএনপি মহাসচিবের ওয়াকওভার দেওয়ার কথাটি নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণকেই প্রাসঙ্গিক করে তোলে।