পরকীয়া যেন এ যুগের নতুন মহামারি। যা অবাধেই চলছে এবং সংসারে সৃষ্টি হচ্ছে ফাটল। অথচ ছোটখাটো কিছু বিষয়ে সচেতন হলেই সম্ভব এ মহামারিকে রোধ করা। আসুন দেখে নিই বিষয়গুলো-
আচরণ
স্ত্রীর সঙ্গে ভালো আচরণ করুন। অনেকে স্ত্রীর সঙ্গে দাসির মতো আচরণ করতেই পছন্দ করেন, এটা অনুচিত। তিনি আপনার লাইফ পার্টনার। সুখ-দুঃখের সঙ্গী। তার সঙ্গে ভুল-ভ্রান্তি এড়িয়ে সুন্দর আচরণ করতে হবে। স্ত্রীদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য স্বামীর পরকীয়া থেকে বাঁচাতে। ছোটখাটো ভুল-ভ্রান্তির জন্য বকাঝকা থেকে বিরত থাকতে হবে। এক শ্রেণির স্বামী আছেন, যারা ছোটখাটো ভুলের জন্য স্ত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে স্ত্রীর মন থেকে আস্তে আস্তে স্বামীর প্রতি ভালোবাসা উঠে যায়।
মারধর
আমাদের সমাজে একদল নির্লজ্জ পুরুষ আছেন, যারা কথায় কথায় স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন। স্ত্রীকে নির্মমভাবে প্রহার করেন। যা ধর্ম বা দেশের আইন কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এতে স্ত্রীর মন খারাপ হয় এবং তা শেয়ার করার জন্য ভিন্ন সঙ্গী খুঁজতে থাকেন। তাই স্ত্রী কোনো ভুল করলে মারধর না করে সংশোধন করুন। ভালোবাসা দিয়ে বুঝিয়ে দিন। কারণ দিন শেষে আপনাকে তার সাথেই রাত কাটাতে হবে। তার হাতের রান্নাই আপনাকে খেতে হবে।
যৌনশক্তি
স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য যৌন আচরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে স্বামীকে স্ত্রীর যৌন চাহিদার প্রতি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। তাকে যৌন চাহিদা ও পরিতৃপ্তির ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে। এ সময়ে তরুণদের হাতে অশ্লীল বস্তু সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই বিয়ের আগে যৌনক্ষমতা হ্রাস করে ফেলেন, যা সংসারে মারাত্মক ক্ষত হয়ে দেখা দেয়। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, পরকীয়া বা স্ত্রীর বিপথগামী হওয়ার সূচনা এখান থেকেই হয়। তাই সংসারে শান্তি চাইলে বিয়ের আগে নিজেকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় পরামর্শ অনুযায়ী চলা যেতে পারে।