গল্পটি আশা ভোসলে নিজেই শুনিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। এক বন্ধু তাঁকে নাকি বলেছিলেন, আশার জন্মের ঠিক আগে স্রষ্টা বলেছিলেন, ‘তোমাকে একটি সুসংবাদ এবং একটি দুঃসংবাদ দিয়ে দুনিয়ায় পাঠাব। সুসংবাদটি হলো তুমি বিখ্যাত একটি সংগীত পরিবারে জন্মাবে এবং গানে গানে বহুদূর যাবে। আর দুঃসংবাদটি হলো তোমার বড় বোনের জন্য ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়িকার স্বীকৃতি তোলা থাকবে, তোমার সেখানে জায়গা হবে না!’
গল্প হলেও কথাটা নেহাত ভুল নয়। বছরের পর বছর ভারতীয় সিনেমা–দুনিয়ায় নারী কণ্ঠের তালিকায় সবার ওপর ছিল দুটি নাম—লতা ও আশা। এত গান, এত এত সুর ও সুরকার, এত দীর্ঘ বছরে শ্রোতা পাল্টে গেছে, বদলে গেছে প্রজন্ম। কিন্তু তাঁদের জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। লতা বিদায় নিয়েছেন। ৯০ পেরোনোর অপেক্ষায় থাকা আশা মুম্বাই থেকে দুবাই গেছেন। ১ সেপ্টেম্বর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও দিয়েছেন ‘তরুণ’ এই শিল্পী। এয়ারপোর্ট যাওয়ার পথে গাড়িতে করা ভিডিওতে কেডস পায়ে, শাড়িতে সমুজ্জ্বল আশা মুঠোফোনে গেম খেলছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘যাচ্ছি। ৮ সেপ্টেম্বর দেখা হবে দুবাইতে। আমার জন্মদিনে।’ একই দিন আরেকটি ভিডিও দিয়ে লিখেছেন, ‘আমার সাম্প্রতিক পেশা অনলাইন ভিডিও গেমিং!’