স্বপ্ন তিন প্রকার

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৫০

স্বপ্নের উৎস তিনটি। ১. মহান আল্লাহ–তায়ালা, ২. কল্পনা, এবং ৩. শয়তান


নবীরা আল্লাহর কাছ থেকে আসা স্বপ্ন দেখেছেন। আল্লাহ তাঁদের স্বপ্ন শয়তানের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছেন। নিজেদের কল্পনা থেকেও আল্লাহ তাঁদের স্বপ্নকে রক্ষা করেছেন। নবীদের স্বপ্ন তাই অহি হিসেবে গণ্য করা হয়। হজরত ইব্রাহীম (আ.) যেমন হজরত ইসমাইল (আ.)–কে কোরবানি করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কল্পনা থেকে উদ্ভূত স্বপ্নকে বলা হয় হাদিসুন নাফস। ধরা যাক, ঢাকা শহরের আপনি একটি ফ্ল্যাটের মালিক হতে চান। এ নিয়ে সব সময় আপনি ভাবছেন। স্বপ্ন দেখলেন, আপনি একটি ফ্ল্যাটে বাস করছেন। এটা আপনার কল্পনা থেকে উদ্ভূত স্বপ্ন। শয়তানের পক্ষ থেকে যে স্বপ্ন আসে তা আসলে দুঃস্বপ্ন। আরবিতে একে বলা হয় আল হুলম। আল হুলম মানে অশুভ স্বপ্ন। এ ধরনের স্বপ্ন দেখার পর মনে ভয় বা আতঙ্কের জন্ম হয়। এ ধরনের স্বপ্নের মাধ্যমে শয়তান অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। এ ধরনের স্বপ্ন নিয়ে পড়ে থাকা ঠিক নয়।


স্বপ্ন তিন প্রকার। ভালো স্বপ্ন আল্লাহর কাছ থেকে সুসংবাদ। আরেক ধরনের স্বপ্ন আসে শয়তানের পক্ষ থেকে, তা দুর্ভাবনা তৈরি করে। মানুষ তার মনের সঙ্গে যে কথা বলে এবং সে যা চিন্তা–ভাবনা করে তা থেকে অন্য আরেক ধরনের স্বপ্ন উদ্ভূত। দুঃস্বপ্নের প্রতিকার দুঃস্বপ্ন দেখার পর কী করতে হবে সে সম্পর্কে মুসলিম শরিফে বর্ণনা করা হয়েছে। হজরত আবু কাতাদাহ্ (রা.) বলেছেন যে তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘সুস্বপ্ন আসে আল্লাহর কাছ থেকে, আর দুঃস্বপ্ন শয়তানের কাছ থেকে। অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কোনো বিষয় স্বপ্নে দেখে, যা সে পছন্দ করে না, তখন সে যেন তার বাঁপাশে তিনবার থুতু ফেলে এবং আউজুবিল্লাহসহ সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়ে স্বপ্নের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চায়। এ রকম করলে সে তার খারাপ কিছু করতে পারবে না।’ কেউ দুঃস্বপ্ন স্বপ্ন দেখলে তিনি পাশ পরিবর্তন করে ঘুমাবেন। সম্ভব হলে নামাজ পড়বেন। যে স্বপ্নই কেউ দেখুক না কেন, একেবারে কাছের ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকে স্বপ্নের কথা বলা ঠিক নয়।


হজরত আবু হুরাইরাহ্ (রা.)–এর বরাতে একটি হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের সময় যখন আসন্ন তখন খাঁটি মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের মধ্যে সত্যভাষীরা সবচেয়ে সত্য ও বাস্তব স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। মুসলমানের স্বপ্ন নবুয়তের পঁয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। স্বপ্ন তিন প্রকার। ভালো স্বপ্ন আল্লাহর কাছ থেকে সুসংবাদ। আরেক ধরনের স্বপ্ন আসে শয়তানের পক্ষ থেকে, তা দুর্ভাবনা তৈরি করে। মানুষ তার মনের সঙ্গে যে কথা বলে এবং সে যা চিন্তা–ভাবনা করে তা থেকে অন্য আরেক ধরনের স্বপ্ন উদ্ভূত। অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কোনো স্বপ্ন দেখে যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন ঘুম থেকে উঠে দাঁড়ায় এবং নামাজ আদায় করে। আর মানুষের কাছে সে স্বপ্নের কথা গোপন রাখে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us