আজকের পত্রিকা: এবারের ব্রিকস সম্মেলন কতটুকু সফল বলে আপনি মনে করেন?
হুমায়ুন কবির: সফলতার বিষয়টি কয়েকটি মানদণ্ডে দেখা যেতে পারে। আমরা যদি ব্রিকসকে একটি ইউনিট হিসেবে দেখতে যাই, তাহলে তারা দুটি বিষয়কে লক্ষ্য ধরে এবারের সম্মেলন করেছে। এক. সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি করা। এটা ছিল তাদের বড় অ্যাজেন্ডা এবং দুই. ডলারের বিপরীতে একটি বিকল্প অর্থনৈতিক কাঠামো দাঁড় করানো। এখন ভবিষ্যতে এটা চালু করতে পারবে কি না, সেটা দেখার বিষয়।
সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে তারা মোটামুটি সফল হয়েছে, সেটা বলা যেতে পারে। নতুন করে তারা ছয়টি দেশকে সদস্যপদ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটা ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। সেদিক থেকে এ ক্ষেত্রে তাদের একটা সফলতা আছে। দ্বিতীয়ত, বিকল্প মুদ্রা নিয়ে খুব বেশি অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে হয় না। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে। তবে তারা চিন্তা করেছিল, নিজ নিজ দেশের মুদ্রা দিয়ে বাণিজ্য করা যায় কি না। এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কাজেই এ ক্ষেত্রে সীমিত অগ্রগতি দেখছি।