বিদেশে জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে সরকারিভাবে নতুন করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক উদ্যোগ, কারণ শ্রমবাজারে যদি দক্ষ জনশক্তি পাঠানো যায়, তাহলে তাদের দরকষাকষির ক্ষমতা কিছুটা হলেও বাড়বে। গৃহকর্মী হিসেবে নয়, কেয়ার গিভার, সুপারভাইজার হিসেবে যদি পাঠানো যায়, তখন কিন্তু একজন জনশক্তির ভূমিকা ভিন্ন হয়। কিছুটা শিক্ষিত হলে ইংরেজি কিছুটা বলতে পারবে, এটি একটি দিক আর দ্বিতীয় দিক হচ্ছে, নির্দিষ্ট দেশগুলোতেই কেন জনশক্তি পাঠানো হবে, এর বিকল্পও খুঁজতে হবে। যেসব জায়গায় প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি নতুন গন্তব্যে জনশক্তি রফতানিতে কূটনৈতিক প্রয়াস জোরদার করা উচিত। যেমন মরিশাসসহ বেশকিছু দেশে রেডিমেড গার্মেন্টস শ্রমিকের সুযোগ রয়েছে, জাপানসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোয় কেয়ার গিভাররা কাজ করে সম্মানজনক অর্থ উপার্জন করতে পারে। সেজন্য কূটনৈতিকভাবে বিভিন্ন ধরনের এক্সপ্লোরেশন দরকার আছে।
যাচাই-বাছাই ও খোঁজ নেয়ার পাশাপাশি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন প্রয়োজন। আমাদের দেখার দরকার আছে যে, কোন দেশগুলো আনএক্সপ্লোরড, সে দেশগুলোয় জনশক্তি পাঠাতে হবে। যেমন অস্ট্রেলিয়ায় কেমন জনশক্তি পাঠানো যায় সেটা চিন্তা করে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর প্রশিক্ষণ নিয়ে ভাবতে হবে। প্রশিক্ষণ আবার দুই রকম। একটা হচ্ছে সফট স্কিল, বেসিক স্কিল, আইটি স্কিল, ল্যাংগুয়েজ স্কিল বিশেষ করে ইংরেজি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটিকেট স্কিল। এসব ক্ষেত্রে বিএমইটি বা তাদের সংশ্লিষ্ট যারা তারা কাজ করতে পারে। আর প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা প্রশিক্ষণ দেয় তারাই অতটা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়। আবার দেখা যায়, প্রশিক্ষণের সময়সীমা খুব স্বল্প সময়ের। এ কম সময়ে আসলে তেমন কিছু শেখানোর সময় হয় না। দ্বিতীয়ত দেখা যায়, সার্টিফিকেশন নেই। প্রশিক্ষণের কারিকুলাম নেই এবং কারিকুলাম দেশী ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। তাহলে কীভাবে হবে? আর কোন কোন জায়গায় আমাদের সুযোগ আছে? যেমন বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটা সুযোগ আছে। এ জায়গায় কীভাবে আরো মানুষ আনা যায়?