ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে নামিদামি মেডিকেল কলেজেও ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন শত শত শিক্ষার্থী। ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বছরে এ প্রশ্ন ফাঁস হয়। এসব প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, খুলনা ও রংপুর মেডিকেল কলেজেও ভর্তি হওয়ার সুযোগ মিলে যায়! মেধা তালিকায়ও নাম লেখান অনেক শিক্ষার্থী; কিন্তু চূড়ান্ত পরীক্ষা বা পেশাগত পরীক্ষায় অনেকেই ফেল করেন, কেউ দেন বারবার পরীক্ষা। অনেকে পাস করে ‘চিকিৎসাসেবাও’ দিয়ে চলেছেন! পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির তদন্তে চিকিৎসা শিক্ষার এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
কালবেলার হাতে থাকা নথিপত্র বলছে, তদন্ত সংস্থা সিআইডি এরই মধ্যে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করেছে। প্রশ্নপত্র কিনে ভর্তি হওয়া এ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজে ৪০, খুলনা মেডিকেল কলেজে ২০, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ২৫, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ২০ ও রংপুর মেডিকেল কলেজের ১৫ শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন কলেজে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ফলও সংগ্রহ করছে সিআইডি। সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং খুলনা মেডিকেল কলেজে চিঠি পাঠিয়ে ২২ শিক্ষার্থীর বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি খুলনা মেডিকেল কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তালিকায় থাকা অন্য শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।