আইনমন্ত্রীর একটি অভ্যাস আমার ভালো লাগে—তিনি তার মোবাইলে আসা প্রতিটি কল নিজেই রিসিভ করেন। এই চমৎকার সৌজন্যমূলক আচরণটি তিনি সবার সঙ্গেই করেন এবং এ জন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আরও ভালো লাগতো, যদি একইভাবে তাকে ধন্যবাদ দিতে পারতাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) প্রণয়নের জন্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেটা পারছি না।
প্রতিটি কল রিসিভ করার ক্ষেত্রে আইনমন্ত্রীর যে উদারতা, তার বিপরীতে অত্যন্ত গোপনীয়তায় সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের বিষয়টি কোনোভাবেই মেলানো যায় না। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ কিছু অংশীজন এবং নাগরিক সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে তিনি সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি তাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং বারবার আশ্বস্ত করেছেন যে গণতান্ত্রিক সব নীতি মেনেই আইনটি সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু, তাদের কাউকে আইনটির খসড়া দেখানো হয়নি, এমনকি এর কাঠামোও নয়।