মুলতানের তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা স্থানীয়দের, আর হিমালয়-পুত্রদের অবস্থা তো বলাই বাহুল্য। আবহাওয়ার এই চরম বৈপরীত্য সত্ত্বেও কোনো অভিযোগ নেই নেপালের ক্রিকেটারদের। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ তথা বড় কোনো আসরে খেলতে এসেছেন তারা। হার-জিত একপাশে সরিয়ে সেই আনন্দটা দু’হাত ভরে উপভোগ করতে চান তারা। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলের সঙ্গে ১৫ নম্বরের লড়াইয়ে ফলাফলটা অনুমেয়ই। তবে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান বলেই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ কিছুর সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যায় না।
আজ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের হারানোর কিছু নেই। কেবলই অর্জনের সুযোগ। টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সচরাচর খেলারই সুযোগ তো পায় না তারা। এখন পর্যন্ত তারা কেবল উইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছে। সেটাও এ বছর বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচ নেপালের জন্য নতুন দিগন্তের উন্মোচনের মতো। তবে ভেতরে ভেতরে কিন্তু ক্রিকেটীয় শক্তি হিসেবে পথচলা শুরু করে দিয়েছে নেপাল।
গত এপ্রিল-মে মাসে আরব আমিরাত, হংকংয়ের মতো দেশকে পেছনে ফেলে ১০ দলের এসিসি প্রিমিয়ার কাপ শিরোপা জিতেছে নেপাল। এর আগে বিশ্বকাপ লিগ-২ তে ১২ ম্যাচের ১১টিতে জিতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলার সুযোগ করে নিয়েছিল তারা। ২০১৮ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া নেপাল এখন ব্যাঙ্কিংয়ে ১৫ নম্বরে আছে।