বাস্তুসংস্থান রক্ষার উদ্যোগ না নিয়েই পাখির অভয়ারণ্যে উন্নয়ন প্রকল্প

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৪০

পরিযায়ীসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী পাখির অবাধ বিচরণের কারণে এক সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘোষণা করা হয়েছিল পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে। প্রতিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এ ধরনের এলাকায় গাছ কাটা ও নতুন স্থাপনা নির্মাণে সমীক্ষা চালানোসহ বেশকিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১টি অবকাঠামো নির্মাণের একটি প্রকল্প চালু রয়েছে। প্রকল্প গ্রহণের আগে সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বাস্তুসংস্থান ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বেশকিছু উদ্যোগ নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। যদিও এসব সুপারিশের বড় একটি অংশ পরিপালন করা হয়নি।


‘‌জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পায় ২০১৮ সালে। প্রকল্পে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১টি অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত থাকলেও পরবর্তী সময়ে এর মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করা হয়। প্রকল্পটির আওতায় প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবনের সম্প্রসারণ, শিক্ষার্থীদের জন্য হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন ও খেলার কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।


এটি প্রণয়নের আগে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি সমীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সমীক্ষায় পাওয়া ফলাফল ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। সুপারিশে পাখিদের অবাধ চলাচল নিশ্চিতের জন্য ২০ মিটার বা ছয়তলার অতিরিক্ত উচ্চতার ভবন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক থেকে ন্যূনতম ১০০ মিটার দূরত্বে নির্মাণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষকদের জন্য নির্মাণাধীন টাওয়ার, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের টাওয়ার এবং গেস্ট হাউজ কাম রিসার্চার টাওয়ার নির্মাণের ক্ষেত্রে এ সুপারিশ মানা হয়নি। ভবনগুলোর উচ্চতা ১০-১১ তলা হলেও তা উল্লিখিত স্থানের মধ্যেই নির্মাণ করা হচ্ছে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us