রাত আনুমানিক ১১টা। মিরপুরের শিয়ালবাড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে পুলিশের একটি টহল গাড়ি। মিরপুর-১ নম্বরের সি ব্লকে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করলে একজন উপপরিদর্শক রাজি হন এবং গন্তব্যে রওয়ানা দেন।
পথে পুলিশের টহল গাড়ির পাশ দিয়ে দ্রুতগতিতে চলে যায় একটি মোটর সাইকেল। আরোহী ছিল তিন জন।
ইচ্ছা থাকলেও বাইক আরোহীদের পরিচয় জানতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সেই এসআই বললেন, “তাদেরকে তো ধরা যাবে না। কারণ আমাদের গাড়ির গতি বাড়ালেই ইঞ্জিনে তেল উঠে বন্ধ হয়ে যাবে।”
সন্দেহভাজনদের তাড়া করতে না পারলে কীসের ডিউটি দিচ্ছেন- এই প্রশ্নে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কী বলব? রূপনগর থানায় পাঁচটি টহল গাড়ি আছে। একটারও অবস্থা ভালো না। এভাবেই চলে আরকি। গতি বাড়ানো যায় না। ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে চলে গাড়িগুলো।
“পরিবহন শাখায় পাঠানো হলে একটু মেরামত করে আবার থানায় পাঠিয়ে দেয়। নতুন কোনো গাড়ি দেয় না। নতুন গাড়ি দিলে পাঁচ বছরেও তাতে হাত দিতে হত না, আর গাড়িগুলোর গতিও ভালো থাকত।”
এই অবস্থা শুধু রূপনগর থানা নয়। রাজধানীর ৫০টি থানার টহল গাড়িগুলোর অবস্থাও ‘লক্কড়ঝক্কড়’ বলে আক্ষেপ করলেন ওই এসআই।