দক্ষিণ কোরিয়ার তিনজন বিজ্ঞানীর দাবি একই! সেই তিনজন বলছেন, তাঁরা একটি সুপারকন্ডাক্টর তৈরি করেছেন, যা ঘরের তাপমাত্রা এবং পরিবেষ্টিত চাপ–উভয় ক্ষেত্রেই কাজ করে। সমস্যা হলো, বিষয়টি নিয়ে অনেক বিজ্ঞানী সন্দিহান। তাঁরা ওই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন।
ফলাফল যেহেতু এখনো জানা যায়নি, তাই বলা যাচ্ছে না কী হবে। তবে গবেষণা নিশ্চিত হলে এটি হবে বিজ্ঞানের বিপ্লবী অগ্রগতি। সুপারকন্ডাক্টরের প্রতিরোধক্ষমতা শূন্য হওয়ার কারণে প্রযুক্তিতে এর বহু উপযোগিতা রয়েছে। যেখানে নিরবচ্ছিন্নভাবে অনেক পরিমাণের বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা প্রয়োজন, সেখানে এর জুড়ি মেলা ভার। শুধু একটিই ব্যাপার, যে সরঞ্জামের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ যাবে, তাকে বেশ ঠান্ডা করে রাখতে হবে। কারণ, আমাদের স্বাভাবিক জগতের তাপমাত্রায়, অর্থাৎ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ২৯৩ কেলভিনের আশপাশে থাকলে সুপারকন্ডাক্টর দশা লোপ পাবে। সুপারকন্ডাক্টিভিটির ইতিহাসের একদম শুরুর দিন থেকেই চেষ্টা চলছে এমন বস্তু আবিষ্কার করার, যা এ রকম তাপমাত্রায়ও শূন্য প্রতিরোধক্ষমতায় বিদ্যুৎ বহনে সক্ষম হবে। সে রকম জিনিসের দেখা এখনো মেলেনি।