দেশভাগের দায়দায়িত্ব

দেশ রূপান্তর মযহারুল ইসলাম বাবলা প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫৮

১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং ১৯০৬ সালে ঢাকায় মুসলিম লীগ দল দুটি ব্রিটিশদের তত্ত্বাবধানে জন্মলাভ করেছিল। কংগ্রেস দলে মুসলিমদের অংশগ্রহণ থাকলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের আধিক্য, কর্তৃত্ব এবং গুরুত্ব ছিল অধিক। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, হাকিম আজমল খান, ডা. আনসারী, সৈফুদ্দিন কিচলু, আসফ আলী প্রমুখ মুসলিম নেতারা কংগ্রেসে ছিলেন বটে, তবে কংগ্রেসের হিন্দুয়ানি চরিত্রের বদল করতে পারেননি। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের কংগ্রেস দলে সম্পৃক্তির পেছনে অনগ্রসর মুসলিম সম্প্রদায়ের বিষয়টিও বিবেচনার দাবি রাখে। হিন্দু সম্প্রদায় অর্থ-বিত্তে, শিক্ষায়-সম্পদে ছিল অগ্রবর্তী। পাকিস্তান স্রষ্টা জিন্নাহও কংগ্রেসে ছিলেন। কংগ্রেসে থাকাবস্থায় তিনি মুসলিম লীগে যোগদান করেছিলেন। নেহরুদের দ্বারা ক্রমাগত কোণঠাসা হয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে কংগ্রেস ত্যাগ করে ধর্মনিরপেক্ষ জিন্নাহ জিগির তুলেছিলেন, দ্বিজাতিতত্ত্বের এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের পৃথক ভূমি। ব্যক্তিগত জীবনযাপনে সামগ্রিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ জিন্নাহ আচানক সাম্প্রদায়িক নেতারূপে আবির্ভূত হন। যার পেছনে সম্প্রদায়গত স্বার্থের চেয়েও অধিক ছিল ব্যক্তিগত ক্ষমতা ও কর্তৃত্বে¡র স্বার্থ। মুসলিম লীগে তিনি একক কর্তৃত্ব সহজেই প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। মুসলিম লীগের একনায়ক ছিলেন জিন্নাহ। জিন্নাহর ইচ্ছা ব্যতিরেকে মুসলিম লীগের একটি সিদ্ধান্তও গৃহীত হওয়ার উপায় ছিল না। মুসলমানদের পৃথক ভূমির দাবি তুলে কংগ্রেসের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করে নিজেদের ইচ্ছা পূরণে জিন্নাহর ওপর দায় চাপিয়ে দেশভাগে নীরবে মদদ জুগিয়েছিল। অবশ্য সম্প্রদায় বিভাজনের দ্বন্দ্বের পেছনে ব্রিটিশদের ইচ্ছাপূরণের স্বপ্ন জড়িত ছিল। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্ব নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষরূপেও প্রমাণ দিতে পারেনি। স্বয়ং গান্ধী অসাম্প্রদায়িক ছিলেন, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না। চূড়ান্ত দুই প্রধান দলের ক্ষমতার ভাগাভাগিতে অনিবার্য হয়ে পড়েছিল দেশভাগ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us