ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ চলছে । জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এমনকী ছোটদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড়দের শরীরে ইমিউনিটি বেশি থাকে। সেই তুলনায় ছোটদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম। এ কারণে তারা কিছুটা বেশি সময় ধরে ভুগছে। এমনকী অনেক ক্ষেত্রে জ্বর সেরে যাওয়ার পরও কাশি কমছে না। সারাদিন কাশতে কাশতে হাঁফিয়ে উঠছে শিশুরা। শিশুর কাশি কমাতে ঘরোয়া কয়েকটি সমাধান অনুসরণ করতে পারেন।
উষ্ণ পানীয়ের বিকল্প নেই: শিশুর কাশি কমাতে চাইলে তাকে প্রতি আধ ঘণ্টা পর পর এক কাপ হালকা গরম পানি বা হেলথড্রিংকস পান করান। এতেই দেখবেন তার কাশির প্রকোপ কমবে। এমনকী বুকে জমে থাকা কফ বেরিয়ে আসতেও সময় লাগবে না। তবে কোনওমতেই শিশুকে দিনে ১ বা ২ বারের বেশি চা বা কফি খাওয়াবেন না। এতে অনিদ্রা, পেটের সমস্যাসহ একাধিক জটিলতা তৈরির আশঙ্কা তৈরি হবে।
গরম পানি দিয়ে গোসল করান: এই প্যাঁচপ্যাঁচ গরমেও শিশুকে হালকা গরম পানিতে গোসল করানোর চেষ্টা করুন। এতে কাশির সমস্যা কমবে। সেই সঙ্গে মাথা ব্যথা, সর্দি এবং গলা ব্যথার মতো সমস্যাও কমে যাবে। তবে শিশুকে অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করাবেন না। এতে অন্যান্য সমস্যা তৈরি হবে। গোসলের জন্য সহনীয় মাত্রার পানি ব্যবহার করুন।
এক চামচ মধু : কাশির সমস্যা সমাধানে সেই প্রাচীনকাল থেকেই মধু ব্যবহার হচ্ছে। কাশি কমাতে শিশুকে সকাল-বিকাল এক চামচ করে মধু খাওয়ান। এতে শিশুর কাশির প্রকোপ কমবে। বেশি উপকার পেতে চাইলে এক চামচ মধুতে একটা তুলসি পাতা দিয়ে শিশুকে খেতে দিন। এই কাজটি করতে পারলে কাশি তো কমবেই, পাশাপাশি ফুসফুসে জমে থাকা কফও বেরিয়ে যাবে।
ভেপার নিতে হবে : কাশি কমাতে চাইলে শিশুকে সারাদিনে অন্তত দুবার ভেপার দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। এতেই দেখবেন তার কাশির প্রবণতা কমবে। এমনকী মাথা ব্যথা, গলা ব্যথার মতো সমস্যাও কমে যাবে। এছাড়া সময় বিশেষে শিশুকে কুচিকুচি করতেও বলতে পারেন। তাতেও উপকার মিলবে।