রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও দেশে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যদিও এই সময়ে পোশাকের অন্যতম প্রধান কাঁচামাল তুলার আমদানি কমেছে ২৯ শতাংশ।
গত জানুয়ারি থেকে জুন—এই সময়কালে দেশের বস্ত্রকলগুলো ১৭ হাজার কোটি টাকার ৬ লাখ ৩২ হাজার টন তুলা আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ৮ লাখ ৯১ হাজার টন তুলা। যদিও গত বছর শেষে তুলা আমদানি দাঁড়িয়েছিল ১৮ লাখ টনে। তাতে ব্যয় হয়েছিল ৪৭ হাজার কোটি টাকা।
পোশাক রপ্তানি বাড়ল আর তুলার আমদানি কমল—এমন বৈপরীত্যের বিষয়ে বস্ত্র খাতের কয়েকজন উদ্যোক্তা জানান, গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ কমেছে। তার প্রভাব বস্ত্র খাতে পড়েছে। এমনও হয়েছে, যেটুকু ক্রয়াদেশ ছিল সেটুকুও গ্যাস-সংকটের কারণে সময়মতো দেওয়া যায়নি। অন্যদিকে গত বছর বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানি হয়। যেহেতু গ্যাস, ডলার ও ক্রয়াদেশ-সংকট ছিল, তাই অনেক স্পিনিং মিল বেশি তুলা আমদানির ঝুঁকি নেয়নি।