একসময় সোনালী আঁশ পাটকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল বড় বড় হাট বাজার। এখন পাটের সেই দিনগুলো আর নেই। সবই এখন কেবল ইতিহাস। বাণিজ্যিক লাভ না হলেও ঐতিহ্য রক্ষায় বংশ পরস্পরায় অনেকে এখনও পাটের আবাদ করে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি খরিপ মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাওর অঞ্চলে পাটের ফলন ভালো হয়েছে। এখন গ্রামাঞ্চলে চলছে পাটকাটা, পাট মাড়াই ও পাট শুকনোর কাজ। তবে এ বছর মৌসুমের শুরুতে পাট পচানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঙ্ক্ষিত পানির দেখা না পাওয়ায় অনেকটাই বিপাকে পড়েছিলেন ভাটি অঞ্চলের পাট চাষিরা।
পাট চাষিদের অভিযোগ প্রতি বছর পাটের উৎপাদন খরচ বাড়লেও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তারা। এ অবস্থায় অনেক কৃষকই পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তবে কৃষি বিভাগের দাবি, কৃষকেরা লাভবান হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে পাটের আবাদ।