রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হতে চলেছে শুক্রবার (২৫ আগস্ট)। কূটনৈতিক জটিলতায় আটকে আছে প্রত্যাবাসন। যদিও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করেছিল মিয়ানমার সরকার। কিন্তু সেই প্রত্যাবাসন আজো শুরু হয়নি। এতে দীর্ঘ হচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট। এরই মধ্যে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দিন দিন বাড়ছে অস্থিরতা। সেইসঙ্গে বাড়ছে হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধ। গত ছয় বছরে ক্যাম্পে ১৮৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে গত ২৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ৮৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর আগের পাঁচ বছরে ১০১টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে চাঁদাবাজি, অপহরণ, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা এবং আধিপত্য বিস্তার। এ নিয়ে আরসা-আরএসওর প্রকাশ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।
ক্যাম্পের বাসিন্দারা বলছেন, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, চোরাচালান ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে অধিকাংশ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আবার অপহরণ করে চাঁদা না পাওয়ায় কিছু হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। ইতোমধ্যে ক্যাম্পে খুনোখুনিতে আরসা-আরএসও জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।