অন্যায়কে ন্যায় হিসেবে প্রমাণ করতে অনেক কোশেশ লাগতেই পারে, কিন্তু ন্যায়কে যদি ন্যায় হিসেবে প্রমাণিত হতে হয়, তবে ভেবে নিতে হয় যে ‘গোড়া’য় ‘সমস্যা’ রয়ে গেছে। আচ্ছা, আমাদের গোড়াই বা কী আবার কথিত সমস্যাই বা কী? গোড়ার কথা আপাতত তোলা থাকুক, না হয়। তবে ‘সমস্যা’ হচ্ছে, দুনিয়ার অন্য সব মানুষের মতোই আমরাও যে মানুষ, সেই ধারণায় বিশ্বাস বজায় না রাখা। দুনিয়ার মানুষ যে প্রচুর কাঠখড় পুড়িয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ও হচ্ছে, সেটা জানা ও বোঝার পরও আমরা বেবুঝের মতো আচরণ করি।
আমরা ‘হাজার বছর ধরে পথ হাঁটছি, পৃথিবীর পথে...’ বটে এবং এরই মধ্যে ‘সিংহল সমুদ্র থেকে মালয় সাগর...’ ছাড়িয়ে পৃথিবী আমাদের জন্য অনেক বিস্তৃতও হয়েছে। আমরা ইদানীং সেই মহা-পৃথিবীর মহা-পথে উঠতে চেষ্টা করছি এবং বলতেই হবে সেটা ব্যক্তিচেষ্টার প্রতিফলন, যা বিদ্যমান দুনিয়ার অন্য সব ব্যক্তিচেষ্টার সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ: কেউ কাউকে করে দেয় না, নিজেকেই করে নিতে হয়। দেখা যাচ্ছে যে নিজেদের এ করণীয় নির্ধারণে ব্যক্তি কোনো পিছুটানে নেই, অন্য কারো দূতিয়ালিও যাচে না, কিন্তু সমষ্টি তথা সরকার/বেসরকার তাদের করণীয় নিয়ে গর্তে পড়লেই দ্বারে দ্বারে ঢুঁ মারে এবং তখনই নাবালকত্ব ধরা পড়ে। নির্বাচন প্রক্রিয়া হাস্যকর করে তুলে বর্তমান গাড্ডায় পতিত হওয়া সেই নাবালকত্বের পরিচায়ক।