মোবাইল ফোনসহ এই ধরনের যন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকলে শিশুর বিকাশ লাভে দেরি হতে পারে।
আর এই তথ্য উঠে এসেছে জাপানের তহুকু এবং হামামাতসু বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণা থেকে।
গবেষণা পত্র প্রকাশের অনলাইন-ভিত্তিক সাময়িকী ‘জামা পেডিয়াট্রিকস’য়ে প্রকাশিত এই পর্যবেক্ষণ-মূলক গবেষণার ফলাফলে জানানো হয়, এক বছর বয়সি শিশুরা লম্বা সময় ‘স্ক্রিন টাইম’ ব্যয় করলে দুই ও চার বছর বয়স পর্যন্ত যোগাযোগ ও বিকাশগত ত্রুটি এবং সমস্যা সমাধানের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
এই গবেষণার তথ্যানুসারে টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, গবেষণার জন্য সাত হাজারের বেশি শিশুকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। যাদের মধ্যে বিকাশগত বিলম্বের লক্ষণ যেমন- যোগাযোগ, সমস্যা সমাধান এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিকতার দক্ষতার বিষয়ে জড়তা ছিল।
স্ক্রিন টাইম বলতে যা বোঝায়
এই গবেষণার বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘স্ক্রিন টাইম’ হল কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ সময় টেলিভিশন দেখে, ভিডিও গেইম খেলে, মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট ও অন্যান্য ‘ডিভাইস’ ব্যবহারে ব্যয় করে থাকে।
এই সময়সীমা শিশুদের মাঝে বেশি হলে নানান রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও স্থূলতার সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
‘দ্যা ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেইশন (ডব্লিউএইচও)’ শিশুদের এক ঘণ্টার বেশি সময় স্ক্রিনের পেছনে ব্যয় না করতে ও অন্যান্য সময় আরামদায়ক কোনো কাজে নিযুক্ত করার পরামর্শ দেয়।