দুঃস্বপ্নের সঙ্গে আমাদের বহুদিনের বাস। রোজ সে এসে দাঁড়ায় আমাদের সামনে। সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় যে নাগরিক মিছিল একদিন সারাদেশ চমকে দিয়েছিল, স্বপ্ন দেখিয়েছিল, সেই মিছিল তো চলমান থাকারই কথা ছিল। কারণ মিছিল ছিল অন্যায়ের বিপক্ষে। মিছিল ছিল ন্যায্যতার পক্ষে। মিছিল ছিল নিপীড়িত মানুষের কাঁধে ভরসার হাত রাখবার জন্য।
কিন্তু সেই বাংলাদেশ কোথায় হারাল? রাজনীতি এমন এক জায়গায় গেছে যে, পুরো নাগরিক সমাজই এখন বিভক্ত। একটা দম বন্ধ করা পরিবেশ। কার সাথে মিশব, কার সাথে মিশব না এমন ভাবনাতেই সময় কাটে। কী কথা লিখব আর কোন কথাটা চেপে যাব—এমন অঙ্ক এখন নিয়ম করে করতে হয়।
একটা ভয়ংকর মৌলবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী যেমন সহসাই কাউকে নাস্তিক ট্যাগ দিচ্ছে, তো আরেক পক্ষ হয়তো মৌলবাদী তকমা দিচ্ছে। কয়েক বছর আগে লেখক, ব্লগারদের তো হত্যা করা হচ্ছিল নিয়মিত বিরতিতে।
যারা এখন মানবাধিকার, গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলছে তাদের ক্ষমতার ইতিহাসও জানা। তাদের চেহারায় ছিল কী আস্ফালন, কী কুৎসিত আচরণ, কী পরিমাণ ঔদ্ধত্য!
মাত্রই গত হয়েছে একুশে আগস্টের মতো ভয়াল ঘটনা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সংসদে তখনকার বিরোধী দলীয় নেত্রীকে হত্যা করতে, তার দলের পুরো নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে রাষ্ট্রীয় মদদে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।