দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা খুব কঠিন। কেউ মনে করছেন, আওয়ামী লীগ পরেরবারও নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করবে। আবার কারও ধারণা, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হতে আর দেরি নেই। কেউ মনে করছেন, আমেরিকা যে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না, সেটা তো শেখ হাসিনা নিজের মুখেই বলেছেন। আবার কেউ উৎফুল্ল শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দেওয়ার খবরে। কেউ আবার খুশিতে বগল বাজাচ্ছেন টেলিগ্রাফের একটি রিপোর্ট দেখে। আনন্দবাজারের রিপোর্ট আওয়ামী লীগের পক্ষে যাওয়ায় ওই রিপোর্টের সত্যতা বা বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন তুলে যাঁরা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন, তাঁরাই আবার টেলিগ্রাফের রিপোর্ট নিয়ে খুশিতে আটখানা! টেলিগ্রাফ লিখেছে, চীন ইস্যুতে আমেরিকা আর ভারত নাকি এক হয়ে গেছে। শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে নাকি সাইজ করে দেবে ইত্যাদি!
আওয়ামী লীগের পক্ষে ভারতের অবস্থান কতটা মজবুত, আর কতটা নড়বড়ে, তা পরিমাপ করার মতো কোনো গোপন তথ্য আমার কাছে নেই। কিংবা আওয়ামী লীগকে সরিয়ে আমেরিকা কোন সরকার ক্ষমতায় আনতে চায়, তার কোনো নির্ভরযোগ্য খবরও আমার হাতে নেই। তবে প্রায় ৫০ বছর ধরে দেশের রাজনীতির একজন নিকট-পর্যবেক্ষক হিসেবে এটা বলতে পারি যে আমেরিকা আর যা-ই করুক, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারতের মতামত উপেক্ষা করে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত সম্ভবত নেবে না। আবার ভারতেরও বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য বিপজ্জনক কোনো অবস্থান নেওয়ার সম্ভাবনা কম। অবশ্য বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হোক—সেটা সবারই চাওয়া। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেটাই বলছেন।