নূতন পেয়ালায় পুরাতন প্রতারণা

সমকাল সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৩, ০১:৩০

অ্যাপসভিত্তিক ‘মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ’ এমটিএফই নামক বহুধাপ বিপণন কারবার লইয়া সমকালসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আমরা যদ্রূপ উদ্বিগ্ন, তদ্রূপ বিস্মিত। উদ্বেগের কারণ সহজেই অনুমিত। কারণ উহাতে ‘বিনিয়োগ’ করিয়া বিপুলসংখ্যক মানুষ সর্বস্বান্ত। কিন্তু আমরা বিস্মিত এই কারণে নহি, সংস্থাটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হইতে কয়েক সহস্র কোটি টাকা আত্মসাৎ করিয়া কাটিয়া পড়িতে সক্ষম হইয়াছে। কারণ আকর্ষণীয় মুনাফার আশ্বাস দিয়া জনসাধারণের নিকট হইতে বিনিয়োগ কিংবা সঞ্চয় লইয়া কিছুদিন পর কর্মী, কার্যালয়সহ লাপাত্তা হইবার খবর বাংলাদেশে বিরল নহে। আমাদের বিস্ময়ের কারণ হইতেছে, দুই-আড়াই বৎসর ধরিয়া এই কারবার মহাসমারোহে চলিলেও উহা পুলিশ ও প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হইল না! দেশের আনাচে-কানাচে সভা-সেমিনার করিয়া, রীতিমতো পাঁচ শতাধিক দপ্তর খুলিয়া, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালাইয়াও তাহারা পাদপ্রদীপের বাহিরে থাকিতে পারিল কী প্রকারে– প্রশ্ন উহাই।


ইহা সত্য, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একজন পুলিশ কনস্টেবলও চাকুরি ছাড়িয়া এমটিএফই নামক এই ‘লাভজনক’ কারবারে নামিয়াছিলেন এবং অযুত-নিযুত প্রতারিতের মধ্যে আরও ঐরূপ ব্যক্তির সন্ধান মিলিতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিবিশেষের অবিমৃষ্যকারিতা দিয়া কোনো সংস্থা কিংবা বাহিনীর অবহেলা ব্যাখ্যা করা যাইতে পারে না। প্রশাসন ও পুলিশের মাঠ পর্যায়ের দায়িত্বরতরা কেন বিষয়টা লইয়া নিরুদ্বেগ কিংবা নির্লিপ্ত ছিলেন, সুলুক সন্ধান জরুরি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাইবার ইউনিটের সদস্যরা বিলম্বে হইলেও যে ছায়াতদন্ত শুরু করিয়াছেন, তজ্জন্য তাহারা সাধুবাদার্হ। কিন্তু অনলাইনের বিপুল নজরদারি ব্যবস্থা সত্ত্বেও পূর্বে কেন বিষয়টা ধরা পড়িল না– সেই প্রশ্নও সংগত। এই অর্থ স্থানান্তরে যেই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’ ব্যবহৃত হইয়াছে, উহা বাংলাদেশে বেআইনি এবং বিশ্বব্যাপী পাচার, মাদক, কালোবাজারি, সন্ত্রাসবাদের মাধ্যম। অন্ধকার জগতের সেই মুদ্রা ব্যবস্থার বিপুল লেনদেন যদি দুই বৎসর ধরিয়া চলিতে পারে, তাহা হইলে অনলাইন নজরদারির কার্যকারিতা লইয়াই প্রশ্ন উঠিতে বাধ্য।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us