বৃষ্টিতে কাদামাখা জুতো নিজের হাতে কাচতে অস্বস্তি হয় অনেকেরই। পরিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে না বলে দিনের পর দিন সাদা বা ‘অফ-হোয়াইট’ রঙের জুতো নোংরা অবস্থায় পরে যাওয়া কাজের কথা নয়। জুতো কাচার জন্য ওয়াশিং মেশিনকে কাজে লাগানোই যায়। তবে তার জন্য মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি জিনিস।
১) কী ধরনের জুতো
চামড়ার জুতো নোংরা হলেও তাতে জল ঠেকানো যায় না। তাই কী ধরনের জুতো ওয়াশিং মেশিনে দিচ্ছেন, তা দেখে নেওয়া জরুরি। সাধারণত কাপড় বা ক্যানভাসের তৈরি জুতো অনেকেই মেশিনে ধুয়ে নেন। প্লাস্টিক বা নাইলনের জুতোও ধোয়া যায়।
২) প্রস্তুতি
বর্ষার কাদামাখা জুতো সরাসরি মেশিনে না দিয়ে আগে আলাদা করে ধুয়ে তার পর মেশিনে দেওয়া যেতে পারে। জুতোয় কোনও ভাবে তেল, কালি, রক্ত বা খাবারের হলুদ দাগ লেগে থাকলে, সেই নির্দিষ্ট জায়গাটি টুথব্রাশ এবং তরল সাবান দিয়ে আগে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৩) বালিশের খোল বা ব্যাগ
ওয়াশিং মেশিনে ছোট ছোট জিনিস কাচতে দেওয়ার সময় জাল দেওয়া এক ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। ওই ব্যাগের মধ্যে জুতো ঢুকিয়ে, ব্যাগের মুখ বন্ধ করে তার পর মেশিনে দেওয়া ভাল। জ়িপার ব্যাগ না থাকলে বালিশের খোল ব্যবহার করা যায়। শুধু খেয়াল রাখতে হবে ব্যাগের মুখ যেন বন্ধ থাকে। বাড়িতে যদি পুরনো, অব্যবহারযোগ্য বেশ কিছু তোয়ালে থাকে, সেগুলিও জুতোর সঙ্গে ঢুকিয়ে দিন।
৪) জুতোর ফিতে
ওয়াশিং মেশিনে জুতো কাচতে দেওয়ার সময়ে ফিতে আলাদা করে নেওয়া ভাল। না হলে মেশিনের মধ্যে থাকা যন্ত্রাংশের মধ্যে ফিতে জড়িয়ে যেতে পারে। তাই ছোট একটি পাত্রে জল এবং তরল সাবান দিয়ে সেগুলি ভিজিয়ে রাখুন।
৫) খোলা হাওয়ায় শুকিয়ে নিন
ওয়াশিং মেশিনে কাচা পোশাক সাধারণত পাশে থাকা ড্রায়ারে দিয়ে অর্ধেক শুকিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু জুতোর ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু আলাদা। মেশিনের সঙ্গে থাকা ড্রায়ারের তাপমাত্রা জুতোর জন্য ভাল নয়। কারণ, জুতোর মধ্যে আঠা দিয়ে লাগানো জিনিসগুলি খুলে যেতে পারে।