নির্বাচনী জবাবদিহিতার বছরে ব্যাপক ডলার সংকট, খেলাপি ঋণ পর্যায়ক্রমিকভাবে বৃদ্ধি, টাকা পাচারসহ অর্থ ও ব্যাংক খাতের নানাবিধ অস্বস্তিগুলো যখন অর্থনীতিকে খুবলে খাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তখন বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত ব্যাংক সভায় প্রদত্ত নির্দেশনাগুলো কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ব্যাংকার্স সভা প্রতি ত্রৈমাসিকের একটি নিয়মিত রুটিন-টাইপ সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। আর সকল ব্যাংকের নির্বাহী প্রধানগণ এতে উপস্থিত থাকেন। দীর্ঘদিন হতেই ব্যাংকার্স সভা ব্যাংকিং জগতে একটি পরিচিত বিষয় হয়ে আছে। তবে নিকট অতীতের সভাগুলোয় কবিরাজি দাওয়াই টাইপের ওষুধ দেওয়ার ফলে ব্যাংকিং রোগ-ব্যাধির তেমন কোনো উপকার হয়েছে বলে মনে হয় না।
এবারের ব্যাংক সভায় আলোচনা ও গৃহীত সিদ্ধান্তের যেগুলো নিষেধাজ্ঞার ফোকর গলিয়ে বাইরে এসেছে সেগুলো অবগত হয়েই যেন আমরা দূরের এক টুকরো আলোকবর্তিকা দেখতে পাচ্ছি। আলোচনা হয়েছে নির্বাচনী গুজব নিয়ে আমানতকারীদের ভেতর আতঙ্ক প্রসঙ্গে। আলোচনায় এসেছে যে, নির্বাচনের আগে নানা ধরনের গুজব আসবে। এসব গুজবে কান দিয়ে ব্যাংক থেকে যেন কেউ টাকা উঠিয়ে না নেয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যাংকগুলো এখন তারল্য সংকটে ভুগছে। ব্যাংক থেকে অনেকেই টাকা উঠিয়ে নিয়ে নিজেদের বাড়িতে নগদ আকারে সংরক্ষণ করছেন।