ডিজিটাল থেকে সাইবার নিরাপত্তা

দেশ রূপান্তর রাজেকুজ্জামান রতন প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০২৩, ১০:১২

বাংলাদেশে কোনো আইন প্রণয়ন, প্রণয়ন-পরবর্তী প্রয়োগ নিয়ে এত আলোচনা, বিতর্ক এবং আতঙ্ক আর হয়েছে কিনা জানা নেই। আইন ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে নিবর্তন ও নির্যাতনের রেকর্ড এ রকম আছে কিনা সন্দেহ। মামলা তো বটেই, শিশু গ্রেপ্তার, সাংবাদিক গ্রেপ্তার, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের নামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে গ্রেপ্তারের এত নজির সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি। এসবই ঘটেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে। সেই বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করেছে মন্ত্রিসভা। কিন্তু এই খবরে স্বস্তি পাওয়ার আগেই শোনা গেল যে, একই সঙ্গে সরকার ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে নতুন আরেকটি আইনের ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ আগের আইনটি প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সংশোধনও না, রহিতও না; এটি পরিবর্তন করা হয়েছে। আইনের ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্যই নামটি রাখা হয়েছে সাইবার সিকিউরিটি আইন। তার কথার সহজ অর্থ দাঁড়ায়, আইনের ব্যাপ্তি বাড়ছে। এতে কি আতঙ্ক বাড়বে না কমবে?


একটু ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, এ ধরনের আইন করার প্রক্রিয়াটা একেবারে নতুন না। ২০০৬ সালে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও বিচারের জন্য বিএনপি-জামায়াত সরকার তথ্যপ্রযুক্তি তথা আইসিটি আইন করেছিল। কিন্তু আইন প্রণয়নের পর তার প্রয়োগ করার কাজটা থমকে ছিল। ২০১৩ সালে সাইবার আইনের আওতায় করা মামলা বিচারের জন্য প্রথম ঢাকায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আওয়ামী লীগ। আইসিটি আইন নিয়ে সমালোচনার মুখে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালে প্রণয়ন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এরপর শুরু হয়ে যায় মামলার বন্যা। মামলা পরিচালনার জন্য ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল বাকি সাত বিভাগীয় শহরে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের গোপনীয় শাখার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ৮টি বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে ৫ হাজার ৫১২টি মামলা বিচারাধীন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছিল ৭ হাজার ৬৬৪টি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us