যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী মানুষের দেহে শূকরেরে কিডনি প্রতিস্থাপন করেছিলেন। অবশ্য সেই কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে সেটিতে জিনগত অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছিল। সেই প্রতিস্থাপিত কিডনি মানুষের দেহে ৩২ দিনেরও বেশি সময় স্বাভাবিক কিডনির মতো সক্রিয়। আরও এক মাস কিডনির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার পর বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে আবারও তথ্য প্রকাশ করবেন। গবেষকেরা বলছেন, কিডনি দুষ্প্রাপ্যতা কমাতে এই গবেষণা মানবজাতিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তির দেহে কিডনিটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল তাঁর শরীর সচল থাকলেও মস্তিষ্ক সচল নেই। এই গবেষণা আন্তঃপ্রজাতি অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং এই ক্ষেত্রে গবেষণা সফল হলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে।
শূকরেরে কিডনি মানবদেহে প্রতিস্থাপন সম্ভব হলে প্রতিবছর ডোনার না পাওয়ার কারণে যে মানুষগুলো মারা যান তাঁরা হয়তো বাঁচার নতুন আশা পাবেন। কারণ বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর কিডনির বিভিন্ন রোগে কয়েক লাখ মানুষ আক্রান্ত হন। কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর ৮৮ হাজার মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন হয়।