ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়নি এমন লোক বা পরিবার হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাধারণত পচা, বাসি, অস্বাস্থ্যকর, জীবাণুযুক্ত খাবার ও পানীয় আহার বা পান করলে ফুড পয়জনিং হতে পারে। এ ছাড়া শিশুদেরও একই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
ফুড পয়জনিংয়ের রোগীদের সাধারণত পাতলা পায়খানা ও বমি হলে খাবার স্যালাইন খেতে দেওয়া হয়। পাশাপাশি রোগীর অবস্থা অনুযায়ী জীবাণুনাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ সেবনের প্রয়োজন পড়ে। যেহেতু ফুড পয়জনিং জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়, তাই অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ করে। এ ছাড়া জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল সেবন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অ্যান্টিস্পাসমোডিক বা ব্যথানিরোধক ওষুধ সেবন করা যাবে না।
পাশাপাশি ফুড পয়জনিংয়ে ভেষজ চিকিৎসা চালাতে পারেন। তবে সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আদা: কুচি আদার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু খেলে তা পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
জিরা: পেট খারাপ, পেটে ব্যথার মতো সমস্যায় এক চা-চামচ জিরা গুঁড়া খেলে সুফল পেতে পারেন।
তুলসী: ইনফেকশন– সে পেটেরই হোক বা গলার, তা দূর করার জন্য দারুণ উপযোগী তুলসী পাতা। থেঁতো করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে সুফল পাবেন।
কলা: কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা ফুড পয়জনিং কমাতে সাহায্য করে।
আপেল: ডায়রিয়া যে ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়, তার প্রভাব দূর করার পাশাপাশি এসিড কমাতেও সাহায্য করে।
লেবু: যেসব ব্যাকটেরিয়ার জন্য ফুড পয়জনিং হয়, তার প্রভাব নষ্ট হয়ে যায় লেবুর রসের এসিডিটিতে। একটা পাতিলেবুর রসের সঙ্গে সামান্য চিনি দিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।