২০২২ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের ২২টি ব্যাংক ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেটস রেশিও (সিআরএআর) বজায় রাখতে ব্যর্থ হবে- যদি তাদের শীর্ষ ৩ ঋণগ্রহীতা খেলাপি হয়ে যায়।
ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেট রেশিও (মূলধন ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের অনুপাত) হচ্ছে একটি ব্যাংকের মূলধনের সাথে ব্যাংকটির রিস্ক ওয়েটেড অ্যাসেট বা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ এবং বর্তমান ঋণের অনুপাত।
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। 'ব্যাসেল ৩' নীতি অনুসারে, বাংলাদেশে ঋণদাতাদের তাদের রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেটসের ১০ শতাংশ বা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যে পরিমাণটি বেশি, সেটি সংরক্ষিত মূলধন হিসেবে রাখতে হবে। কোনো ব্যাংক নির্ধারিত এই পরিমাণ সংরক্ষণ করতে না পারলে, তা ওই ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি হিসেবে বিবেচিত হয়।