ব্যাংক খাতে চাপে থাকা বা দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ দ্রুত বাড়ছে। ২০২২ সাল শেষে খেলাপি হওয়া, পুনঃতপশিল ও অবলোপনের পর অনাদায়ী থাকা এসব ঋণের পরিমাণ বেড়ে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকায় ঠেকেছে; যা মোট ঋণের ২৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে এ ধরনের ঋণ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২২ সালের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্টে উঠে এসেছে এমন চিত্র।
পুনঃতপশিল, অবলোপনসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে অনাদায়ী সব ঋণখেলাপি হিসেবে দেখানো হয় না। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন প্রতিবেদনেও খেলাপি, পুনঃতপশিল করা অনাদায়ী এবং অবলোপন থেকে অনাদায়ী ঋণের মোট স্থিতি একসঙ্গে দেখানো হচ্ছিল না। এই তিন ক্যাটাগরির ঋণের মধ্যে পুনঃতপশিল করা ঋণস্থিতি প্রকাশই করত না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শুধু কোন বছর কত পুনঃতপশিল করা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হতো। এই তিন ক্যাটাগরির ঋণকে একত্রে চাপে থাকা বা দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ বলা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবলের (আইএমএফ) শর্ত থাকায় এবারের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্টে এ ধরনের ঋণের সার্বিক তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের অন্যতম একটি শর্ত, এসব ঋণের তথ্যও প্রকাশ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২১ সাল শেষে চাপে থাকা ঋণস্থিতি ছিল তিন লাখ ১৫ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। এর মানে এক বছরের ব্যবধানে এ ধরনের ঋণ বেড়েছে ৬২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা বা ১৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ।