স্ট্রোক এক মরণঘাতি সমস্যার নাম। এই সমস্যার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সময় থাকতে সতর্ক না হলে ভুক্তভোগী হতে পারেন যে কেউ। অনেক সময় স্ট্রোকের পর বেঁচে গেলেও শরীরের নানা অংশ প্যারালাইজড হতে পারে। এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে যোগ করতে হবে এমন কিছু খাবার যেগুলো এই রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে-
বিভিন্ন ধরনের শাক
আমাদের দেশে প্রচুর শাক পাওয়া যায়। স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে চাইলে নিয়মিত শাক খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। দেশীয় বিভিন্ন মৌসুমী শাক পাতে রাখার চেষ্টা করুন। কারণ শাকে থাকা নাইট্রেট শরীরে পৌঁছানোর পর তা নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়। এই উপাদান সাহায্য করে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে। তাই শাক খেলে স্ট্রোকের মতো মরণঘাতি অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়।
আখরোট
উপকারী একটি বাদাম আখরোট। অনেকটা মস্তিষ্কের গঠনের মতো দেখতে এই বাদাম আমাদের মস্তিষ্কের জন্যও সমান উপকারী। এতে থাকে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড। এই উপাদান প্রদাহ কমায়, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং ব্লাড প্রেসার কমায়। যে কারণে আখরোট খেলে কমে স্ট্রোকের ঝুঁকি। এই বাদামে আরও থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করতে কাজ করে এই উপাদান। ফলে স্ট্রোকসহ আরও অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।
সাইট্রাস ফল
সাইট্রাস ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল। এই জাতীয় ফলে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি, ফোলেট এবং পটাশিয়াম। এসব উপাদান শরীরের প্রদাহ দূর করতে কাজ করে। তাই সাইট্রাস জাতীয় ফল খেতে হবে নিয়মিত। এতে দূরে থাকা যাবে স্ট্রোক থেকে। সেইসঙ্গে এসব ফলে থাকা ভিটামিন সি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করবে।
মাছ
মাছ খাওয়ার রয়েছে নানা উপকারিতা। এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে। তাই স্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচতে খাবারের তালিকায় রাখুন নানা পদের মাছ। এতে থাকা প্রোটিন, আয়োডিন ও সেলেনিয়াম শরীরে পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ করবে।
দই
নিয়মিত দই খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা। এটি আপনাকে স্ট্রোক থেকে দূরে রাখতেও কাজ করবে। উপকারী এই খাবারে থাকে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম এবং প্রোবায়োটিকস। তাই প্রতিদিন দই খেলে মিলবে নানা উপকারিতা। তবে এক্ষেত্রে ট্ক দই হওয়া বাঞ্ছনীয়।