যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নির্যাতনের শিকার হয়ে এক গৃহবধূ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে মৃত্যুর পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ মৌসুমী খাতুন (২৫) উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম গ্রামের মনছুর আলীর মেয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহ জামাল, আতাউর রহমানসহ অনেকে জানান, চার বছর আগে পশ্চিম ধনিরাম (গেটের বাজার) এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে রাশেদুল হক আশেকের (২৮) সঙ্গে মৌসুমীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মনছুর আলী এক লাখ টাকা দেন জামাইকে। কিছুদিন পর আরও টাকার জন্য চাপ দেয় রাশেদুল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় স্বামী-স্ত্রীর। এতে যোগ দেন শ্বশুর-শাশুড়িও। এক পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার হলে গত ৮ আগস্ট মৌসুমিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে লালমনিরহাট হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ফুলবাড়ীতে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান।
গৃহবধূর দাদি জরিনা বেগম বলেন, তার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। গোটা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। বুকে লাথি মেরেছে। তারা নির্যাতন করে তাঁর নাতনিকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিয়েছে। তিনি দোষীদের বিচার চান।