বাংলাদেশে ফ্লাইট সংখ্যা ক্রমেই কমিয়ে আনছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। তাদের দাবি, রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ক্ষতি ও যথাসময়ে টাকা পাঠানো নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয় এখানে। এতে প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে বিদেশি ফ্লাইট পরিচালনা। ফলে দেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে উড়োজাহাজ ভাড়া বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এতে বেশি বিপাকে পড়ছেন প্রবাসী শ্রমিকেরা। ভাড়া বাড়ায় ব্যবসা পরিচালনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোও।
ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)। সংগঠনটি জানায়, আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিনে ৪০টি এয়ারলাইন্সের প্রায় ১৫০টি ফ্লাইট ওঠা-নামা করতো। কিন্তু গত বছরের নভেম্বর থেকে দেশে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট আশঙ্কাজনক হারে কমতে থাকে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ ফ্লাইট কমেছে। ফ্লাইট কমার এ ধারা অব্যাহত আছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় প্লেন টিকিট যাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে যাবে। এতে কমতে থাকবে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স। পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া লোকসানের মুখে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে।
অ্যাভিয়েশন খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে ফ্লাইট কমানোর বিষয়ে তারা বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। এয়ারলাইন্সগুলো জানিয়েছে, তারা যখন টিকিট বিক্রি করে তখন প্রতি ডলারের বিপরীতে টাকার মান থাকে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। কিন্তু রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে টাকার মান হয়ে যায় ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। ফলে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে এয়ারলাইন্সগুলো ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া ডলার সংকটের কারণে বিদেশি এয়ারলাইন্স তাদের টিকিট বিক্রি বাবদ অর্থ যথাসময়ে নিজ দেশে পাঠাতে পারছে না। এ কারণে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।