২০২৩ সালজুড়ে উত্থান-পতনের একটা ঝড় বয়ে গেছে। নানা অকল্পনীয় পরিবর্তন আমরা দেখেছি। ওপেন এআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত টুল চ্যাটজিপিটির পেছনে মাইক্রোসফট ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে, কিংবা ইলন মাস্ক টুইটারের লোগো থেকে ল্যারি নামের নীল পাখিটিকে ছুটি দিয়ে দিয়েছে—এ রকম খবরগুলো সব খাতের মানুষকেই ভীষণভাবে নাড়া দেয়। সে শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা, ডিজিটাল কনটেন্টনির্মাতা, প্রোগ্রামার…যে-ই হোক।
করোনার মহামারি শেষে যখন আমরা একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলব ভেবেছি, তখনই সরকারি সংস্থা, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, সবাই মিলে পড়ালেখার ধরন, পাঠ্যক্রম, মূল্যায়নের তরিকা ইত্যাদি হালনাগাদ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কারণ, ভবিষ্যতের দিকে নজর দিতে হলে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের তৈরি করতে হলে এ ছাড়া উপায় নেই।
কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একটা গ্রাম ঘুরে আসার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীর জন্য তৈরি হতে হলে আমাদের ছেলেমেয়েদের যত বিস্তৃত জ্ঞান থাকা দরকার, সেই তুলনায় নবম-দশম শ্রেণির আইসিটি পাঠ্যক্রম অনেকটাই পিছিয়ে।