ডিঙি নৌকায় খালবিল পাড়ি দেওয়া যায়। পদ্মা-মেঘনার মতো উত্তাল নদী ডিঙি দিয়ে কি পার হওয়া যায়? বাঙালি সাহসী জাতি। তাই বলে ছোট্ট ডিঙি নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার দুঃসাহস দেখানো উচিত নয়। কে শুনে এসব নীতিবাক্য? উন্নত জীবনের স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশিদের একটি অংশ মাঝে মধ্যে এ দুঃসাহসিক কাজটি করে যাচ্ছে। অবৈধ পথে লিবিয়া থেকে নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাচ্ছে। পথিমধ্যে নৌকা ডুবে সলিল সমাধি হচ্ছে কারও কারও। গণকবরের সন্ধান মিলছে। আবার কেউ কেউ ইতালি পৌঁছে শুকরিয়াও আদায় করছেন। নিশাত মজুমদারের পর্বত জয়ে যে আনন্দ, অবৈধ পথে ইতালি পৌঁছে সেই অনুভূতি হতে পারে না। কারণ পর্বত জয় হচ্ছে অ্যাডভেঞ্চার। অন্যদিকে দালালের মাধ্যমে মরণকে তুচ্ছ করে সমুদ্রযাত্রা হচ্ছে জুয়া খেলার মতো। বাঁচলে হিরো, মরলে জিরো।