মহাখালীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আল আমিন। কাজ শেষে সাধারণত প্রতিষ্ঠানের গাড়িতেই ফেরেন পুরান ঢাকার লালবাগের বাসায়। একদিন অফিসের গাড়ি না থাকায় নিজের উদ্যোগে রওনা হয়েই বিপদে পড়েন তিনি।
আল আমিন বলেন, রাত ১০টার দিকে মহাখালী থেকে অটোরিকশা সাত রাস্তার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় হঠাৎ বামের রাস্তায় ঢুকে থেমে যায়। এসময় রাস্তার পাশে দাঁড়ানো আরো দুজন অটোরিকশায় উঠে ঢুকে পড়ে।
অটোরিকশায় ঢুকতে চালকই তাদের সহযোগিতা করেছিল জানিয়ে আল আমিন বলেন, তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকাপয়সা নিয়ে অটোরিকশাটি নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে নামিয়ে চলে যায়।
“কিছুই বুঝতে পারিনি। এত দ্রুত আর এত মানুষের চলাচলের মধ্যে ঘটনাটি ঘটল, হতভম্ব হয়ে গেলাম।”
তবে সবকিছু হারিয়েও আল আমিন পুলিশের দ্বারস্থ হননি। অনেক সময় পুলিশও ছিনতাইয়ের মামলা করার বিষয়ে নিরূৎসাহিত করে।
ছিনতাইয়ে মোবাইল ফোন হারানো একজন ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, থানায় গিয়ে সব বলার পর ডিউটি অফিসার তাকে বলেন, মামলা করলে কাজের চেয়ে ‘ঝামেলা’ বাড়বে। পরে তিনি জিডি করে ফেরেন।
ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীবাসীকে এখন চলাফেরা করতে হচ্ছে আতঙ্ক নিয়ে; ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সম্পদের সঙ্গে প্রাণ হারানোর ঘটনাও ঘটছে।