সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে কয়েক বছর ধরে লোকসান গুনছেন খুলনা অঞ্চলের চাষিরা। লবণাক্ত পানি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং রোগ-বালাইসহ নানা কারণে চিংড়ির পোনা মারা যাওয়ায় ক্রমাগত আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। তবে এ পরিস্থিতিতে ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে দ্বিগুণ উৎপাদনের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।
সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় খুলনার পাঁচ জেলায় সাত হাজার চাষিকে ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯০টি ক্লাস্টারের (প্রতিটি ক্লাস্টারে ২৫টি ঘের) দুই হাজার ২৫০ জন চাষিকে অনুদানের ১৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
এই পদ্ধতি সম্পর্কে খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব কুমার বলেন, ‘ক্লাস্টার পদ্ধতি চিংড়ি চাষের আধুনিক সংস্করণ। এর মাধ্যমে চাষিদের পুকুরের গভীরতা ৪ থেকে ৫ ফুট করা, রোগমুক্ত চিংড়িপোনা সরবরাহ, পানির গুণগত মান ঠিক রাখা এবং পোনার উপযুক্ত খাবার নিয়মিত দেওয়া হয়।’