আবহমান কাল থেকে এ দেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ। ধর্মীয় বোধ ও শান্তিপ্রিয়তার কারণে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে কোনো ধর্মযুদ্ধের আখ্যান নেই। এ দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী সৌজন্য এবং সম্প্রীতি রক্ষা করে বসবাস করছে। এ জন্য ইতিহাসে বৌদ্ধ আমলের বড় বড় বিহার যেমন চোখে পড়ে, তেমনি মুসলিম আমলের অনেক মসজিদও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ রাজধানী ঢাকাও বিশেষ খ্যাতি পেয়েছে মসজিদের নগরী হিসেবে। দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই, পুরো বিশ্বেই ঢাকার মতো পাড়া-মহল্লায় এত মসজিদ অন্য কোথাও শোভা পায় না। আর এ খ্যাতি আজ নতুন নয়, সুলতানি ও মোগল আমল থেকেই পুরো বিশ্বে মসজিদের নগরী হিসেবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে এ দেশ। মসজিদের নগরী ঢাকার নতুন আরেকটি যুগান্তকারী সংযোজন মডেল মসজিদ প্রকল্প। শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা দুনিয়ায় একসঙ্গে শত শত দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণের এমন নজির বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। দেশজুড়ে একযোগে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। শুধু মসজিদ নয়, একসঙ্গে মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বহুমাত্রিক আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প নেওয়া হয়।