ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া। ফলে বেশির ভাগ মানুষের পাতে এখনো ইলিশ ওঠেনি। বাজারে গেলে ইলিশের চড়া দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ফেসবুকে সম্প্রতি একটি স্ট্যাটাস বেশ ছড়িয়েছে। সেটা হলো ‘ইলিশ ঘাস খায় না, খড় খায় না, খইল, ভুসি বা ফিডও খায় না! ইলিশের জন্য চিকিৎসা খরচ নাই, ইলিশ চাষ করতে দিনমজুরও রাখা লাগে না! ইলিশ ইউক্রেন-রাশিয়া থেকেও আসে না কিংবা ইলিশ পুকুরেও চাষাবাদ করা হয় না! নদী বা সমুদ্র থেকে জাল টেনে ধরে আনা ইলিশের দাম গরু, ছাগলের মাংস থেকেও অনেক বেশি। এর জন্য দায়ী কে?’
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কথা হয় জেলে, ট্রলারমালিক, ব্যবসায়ী, আড়তদার ও মৎস্যবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। তাদের কথায় বের হয়ে আসে, সাগরে ইলিশ মিললেও নদ-নদীতে এখন খুব একটা দেখা মিলছে না ইলিশের। আর নদীর ইলিশ সুস্বাদু হওয়ায় ভোক্তাদের কাছে এই ইলিশের চাহিদা বেশি। নদীর ইলিশ চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় এখনো আকার ভেদে দেড় হাজারের নিচে খুচরা বাজারে ইলিশ মিলছে না।
বাজারে সাগরের যে ইলিশ মিলছে তার দামও অপেক্ষাকৃত বেশি। এর পেছনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, জ্বালানি তেল, বরফ, নিত্যপণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরি। এগুলোর প্রভাব পড়ছে সামুদ্রিক ইলিশের দামের ওপর।