চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন ও আদা– ছয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশকে বার্ষিক কোটা দিতে গত ডিসেম্বরে প্রাথমিকভাবে সম্মত হয় ভারত। তবে বাংলাদেশের প্রাথমিক প্রস্তাবে চাল, গম ও চিনির পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার সুপারিশ ছিল দেশটির। এর পর পণ্যের পরিমাণ কমিয়ে কয়েক দফা প্রস্তাব পাঠায় বাংলাদেশ। কিন্তু এ বিষয়ে আবারও আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করে ভারত সরকার। এ সভার আগে কোটার প্রস্তাব আবারও সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিতে দু’দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশ চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও মসুর ডাল– এই সাতটি পণ্য আমদানিতে আলাদা কোটা চায়। সভায় বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। ডাল বাদে ছয়টি পণ্যে কোটা দিতে প্রাথমিকভাবে আগ্রহ দেখায় ভারত।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভারত থেকে হঠাৎ করে চাল, গম ও চিনি আমদানি বেড়ে যায়। সেই অনুযায়ী এসব পণ্যের পরিমাণ উল্লেখ করে কোটা চাওয়া হয়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সভার প্রস্তুতি গ্রহণে বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। বৈঠকে চাল ও গম আমদানির পরিমাণ আবারও সংশোধনে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি খাতের মাধ্যমে আমদানির পরিমাণ নির্ধারণে ট্যারিফ কমিশন ও টিসিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।