শিশুর জন্ম হলে নানা উপহার নিয়ে হাজির হন নিকটাত্মীয়, বন্ধুবান্ধব আর সহকর্মীরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সদ্যোজাত শিশুই পায় এসব উপহার। অনেক ক্ষেত্রে একাধিক শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছ থেকে আসে একই ধরনের উপহার। সব উপহার এ কারণে কাজেও লাগে না। তাই ভিন্ন কিছু ভাবতে পারেন। গর্ভে ৯ মাস তিল তিল করে শিশুটিকে বড় করে তুললেন যে মা, তাঁর জন্য শুভেচ্ছা উপহার নিতে পারেন। এমন কিছু বাছাই করুন, যাতে নতুন মা আনন্দিত হন, নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ বোধ করেন। সবচেয়ে বড় বিষয় উপহারটা যেন তাঁর কাজে লাগে।
পোশাক
নতুন মায়ের চাই আরামদায়ক পোশাক, যা পরে স্বাচ্ছন্দ্যে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন। উপহার হিসেবে তাঁকে দিতে পারেন এমন কোনো পোশাক।
পেটের জন্য ‘বাইন্ডার’
সন্তান জন্মের পর পেটে অ্যাবডোমিনাল বাইন্ডার পরতে উৎসাহ দেওয়া হয়। এতে সঠিক দেহভঙ্গি বজায় থাকে। বিশেষত সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যাঁদের সন্তানের জন্ম হয়েছে, তাঁদের জন্য এটি বেশ উপকারী। তবে যে মায়ের জন্য অ্যাবডোমিনাল বাইন্ডার নেওয়া হচ্ছে, তাঁর মাপটি জেনে নিয়ে এরপর কেনা উচিত। নরম, ইলাস্টিকজাতীয় উপকরণ বেছে নিন। করসেট বা এ–জাতীয় শক্ত কিছু এ সময়ের উপযোগী না।
উষ্ণ পানীয়ের পাত্র
নতুন মা হয়তো কেবল চায়ের কাপে একটা চুমুক দিয়েছেন। অমনি কেঁদে উঠল ছোট্টমণি। তাকে সামলে ফিরতে ফিরতে চা জুড়িয়ে ঠান্ডা। এ ধরনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মাকে এমন একটা পাত্র দিতে পারেন, যাতে পানীয় উষ্ণ থাকবে বেশ কিছুক্ষণ। পাশাপাশি এখন চায়ের কাপ গরম রাখার জন্য ছোট আকারের ইলেকট্রিক কাপ হিটার পাওয়া যায়। সে রকম কিছুও দিতে পারেন।
অনুষঙ্গ
উবু হয়ে বসে বুকের দুধ খাওয়াতে গিয়ে অনেকে ঘাড়ব্যথায় ভোগেন। মাকে আরামদায়ক কোনো চেয়ার কিনে দিতে পারেন, যে চেয়ারে সঠিক দেহভঙ্গিতে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন তিনি। নার্সিং পিলো (শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় যে বালিশ ব্যবহার করা হয়), নার্সিং কাভার (বাড়ির বাইরে দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুকে ঢেকে রাখার বিশেষ কাভার) ইত্যাদি।