খুলনা সিটি করপোরেশন, সড়ক ও জনপথ এবং ওয়াসার ধীরগতির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। সংস্থাগুলোর ‘ধীরে চলো’ নীতির কারণে নগরীর প্রধান খানজাহান আলী সড়কসহ অধিকাংশ সড়ক এখন চলাচলের অনুপযোগী। খানাখন্দে ভরপুর এসব সড়কে বৃষ্টির পানি জমে এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
কবে নাগাদ এসব উন্নয়ন কাজ শেষ হবে তা বলতে পারছে না কেউ। খুলনা সিটি করপোরেশন তাদের উন্নয়ন কাজ শেষ হতে আরও প্রায় দুই বছর সময় লাগবে জানালেও অন্য দুই সংস্থা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না। তবে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন আগামী এক বছরের মধ্যে সমস্ত উন্নয়ন কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।
খুলনা সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সাল থেকে নগরীর শতাধিক সড়কে এই উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। এ কাজে ব্যয় ধরা হয় ৮০০ কোটি টাকা। তবে করোনার কারণে দুই বছর পিছিয়ে থাকে সংস্থাটি। এই সময়ের মধ্যে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনাকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়নসামগ্রীর দামবৃদ্ধির অজুহাতে তাদের কার্যক্রম অত্যন্ত ধীরগতিতে চালাতে শুরু করে। মাসের পর মাস এমনকি বছর অতিবাহিত হলেও ছোট ছোট সড়কগুলোর দুই পাশের ড্রেন নির্মাণ কার্যক্রম শেষ করতে ব্যর্থ হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
দীর্ঘদিন ধরে খুঁড়ে ফেলে রাখার কারণে সড়কের দুই পাশের বাসিন্দাদের দিনের পর দিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেইসঙ্গে সড়কগুলোতে চলতে পারছে না যানবাহনও। ছোট-বড় দুর্ঘটনাকে সঙ্গে করে অলিগলি পথে চলতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
সিটি করপোরেশনের এই ধীরগতির কাজের সঙ্গে যোগ হয়েছে খুলনা ওয়াসার ২০৩০ কোটি টাকার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার কাজ। ২০২৫ সালে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে গত কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এর কার্যক্রম।