যুক্তরাষ্ট্র, নব্য মোশতাক এবং স্ববিরোধিতা

www.kalbela.com সৈয়দ বোরহান কবীর প্রকাশিত: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ১৭:০৪

৩ আগস্ট, ১৯৭৫। দৈনিক ইত্তেফাকের দ্বিতীয় পাতার কোনায় একটি ছোট্ট খবর। ‘বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাকের সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ’। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজেন বোস্টার খন্দকার মোশতাকের আগামসিহ লেনের বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেই সময় খবরটি গুরুত্বহীন ছিল। কিন্তু ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট এ খবরটি ইতিহাসে নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের একটি বড় সূত্র হয়ে যায়। কাকতালীয়ভাবে ঠিক ৪৮ বছর পর ঠিক এই দিনেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গেলেন। এটাও সৌজন্য সাক্ষাৎ। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার দেহভঙ্গিমা এমন যেন মনে হলো, পিটার হাস একজন রাষ্ট্রদূত নন, বাংলাদেশের শাসক অথবা দেবদূত। বাংলাদেশে মার্কিন ভাইসরয়। যুগ্ম সচিব মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে ধন্য হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। একেক নেতার চেহারায় যেন ঈদের খুশির ঝলক। কদিন আগেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ ১২টি দেশের কূটনীতিকদের তলব (আমন্ত্রণ) করেছিলেন। তাদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার সম্পর্কেও সবক দেন। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অযথা নাক না গলানোর পরামর্শ দেন। এর এক দিন পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে একহাত নেন। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের অতি উৎসাহের জন্যই বিদেশিরা বাংলাদেশে মাতব্বরি করার সুযোগ পায়।’ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নিয়েও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশি কূটনীতিকদের ওপর বেজায় চটেছিলেন। রেগে তিনি বলেন, ‘তারা কি মগের মুল্লুক পেয়েছে।’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত কিছুদিন ধরে খোলামেলাভাবেই মার্কিন নীতির সমালোচনা করছেন। সর্বশেষ ইতালি সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন কারও কারও কাছে চক্ষুশূল। এ জন্য তারা আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায়।’ এর আগে আলজাজিরা এবং বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ সভাপতি স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায়।’ জাতীয় সংসদে প্রদত্ত ভাষণে শেখ হাসিনা একই কথা বলেছেন। তিনি এটাও বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে কোনো দেশে চাইলে ক্ষমতার ওলটপালট ঘটাতে পারে।’ দেশের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন এরকম অবস্থানে, তখন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পিটার ডি হাসের উষ্ণ অভ্যর্থনা কী বার্তা দেয়? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সাক্ষাতের সময় নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছিলেন? এটাই কূটনৈতিক শিষ্টাচার।w

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us