আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, বর্ষার ভারী বৃষ্টি টানা ঝরবে আরও দুইদিন। আর বৃষ্টির দিন মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে খিচুড়ির সঙ্গে বর্ষা উদযাপন। নরম খিচুড়ি বা ল্যাটকা খিচুড়ি বানিয়ে ফেলতে পারেন সহজ রেসিপি অনুসরণ করে। মাংস, ডিম ভাজা, বেগুন ভাজা কিংবা সবজির সঙ্গে দারুণ সুস্বাদু এই খিচুড়ি। জেনে নিন রেসিপি।
১ কাপ মুগ ডাল শুকনা প্যানে মাঝারি আঁচে হালকা টেলে নিন। ডালের রঙ সামান্য বদলে গেলে ভাজা মুগ ডাল ও আধা কাপ মসুরের ডাল ২ কাপ চালের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। চাল ও ডাল কয়েকবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
চুলায় মাঝারি আঁচে প্যান বসিয়ে তেল দিন। তেলে কিউব করে কাটা আলু সামান্য লবণ ছিটিয়ে ভেজে নিন। চাইলে পছন্দ মতো অন্যান্য সবজিও দিতে পারেন। আরেকটি প্যান চুলায় দিয়ে সরিষার তেল গরম করুন। গরম হলে শুকনা মরিচ, জিরা, দারুচিনি, এলাচ ও তেজপাতা দিয়ে ১ মিনিট ভেজে নিন। এবার পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে দেড় টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে মাঝারি করে দিন। অল্প করে পানি দিয়ে স্বাদ মতো মরিচের গুঁড়া, ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া ও ১ চা চামচ জিরার গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। কষানো মসলায় পানি ঝরিয়ে রাখা চাল-ডাল দিয়ে কয়েক মিনিট ভাজুন। গরম পানি দিয়ে দিন ৭ কাপ। চাল ও ডাল মিলিয়ে যত কাপ হবে, পানি দিতে হবে তার ঠিক তিনগুণ। বাকি পানি পরে দেবেন। ১ টেবিল চামচ অথবা স্বাদ মতো লবণ দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে ঢেকে দিন পাত্র। মিডিয়াম আঁচে পাঁচ মিনিট রাখুন। ঢাকনা তুলে নেড়ে নিন খিচুড়ি। এবার আরও সাড়ে ৩ কাপ গরম পানি দিন। খিচুড়ি বেশি পাতলা করতে চাইলে আরও খানিকটা পানি দিতে পারেন। পানি ফুটে উঠলে আলুর টুকরা দিয়ে নেড়ে নিন। চুলার আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিন পাত্র। আধা ঘণ্টা পর আরেকবার নেড়ে কাঁচামরিচের টুকরা দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করুন। গরম মসলার গুঁড়া ও টালা জিরার গুঁড়া মিশিয়ে নিন। ঘি দিয়ে নেড়েচেড়ে চুলা বন্ধ করে ৫ মিনিট ঢেকে রাখুন খিচুড়ি। গরম গরম পরিবেশন করুন ল্যাটকা খিচুড়ি।