ডলার-সংকটের কারণে আমরা সময়মতো জ্বালানি তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানি করতে পারছি না। এতে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুত্ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে জনগণের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। সৌরবিদ্যুত্ এই সমস্যার কার্যকর সমাধান এনে দিতে পারে। কিন্তু দেশে সৌরবিদ্যুতের যে সম্ভাবনা রয়েছে, সে ব্যাপারে আমরা এখনো বলতে গেলে উদাসীন।
বাংলাদেশে ৫০ হাজার মেগাওয়াটের বেশি সৌরবিদ্যুত্ উত্পাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে আমাদের কাজে লাগানো উচিত। জার্মানি ও বাংলাদেশের সৌরশক্তির তুলনামূলক বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, জার্মানির যে কোনো জায়গায় সূর্য থেকে আসা সর্বোচ্চ সৌরশক্তিও বাংলাদেশের চেয়ে কম বা অর্ধেক। জার্মানি কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্রগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দিয়ে প্রতিদিন ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সৌরশক্তিসহ অন্যান্য নবায়নযোগ্য উত্স থেকে উত্পাদন করছে। বাংলাদেশ তার চেয়ে অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও কেন প্রয়োজনীয় ১০ থেকে ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সৌরশক্তিসহ অন্যান্য নবায়নযোগ্য উত্স থেকে উত্পাদন করতে পারবে না? দেশে বাতাস থেকে ১ হাজার এবং বর্জ্য থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে মনোযোগ বাড়ালে বিদ্যুত্ উত্পাদনে আমাদের পরনির্ভরশীলতা দূর হয়ে যাবে।