তোশাখানা মামলা তথা রাষ্ট্রীয় উপহার কেনাবেচায় ‘দুর্নীতির ঘটনা’য় ইমরান খানকে তিন বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। তার মানে, এখন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণে তিনি অযোগ্য। এর মাধ্যমে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নির্বাচনে যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতের কথা বলছে, তা সুদূর পরাহত হয়ে রইল। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান তৃতীয় নেতা, যাঁকে আদালতে এভাবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) ইউসুফ রাজা গিলানি ও পিএমএল-এনের নওয়াজ শরিফকেও অনুরূপ ভাগ্য বরণ করতে হয়েছিল। গিলানি ও নওয়াজ শরিফকে যদিও প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়ই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল; ইমরান খানের ক্ষেত্রে তা ঘটল ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১৬ মাস পর। শেষ দু’জনকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল।
ইমরান খান অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পাবেন কি পাবেন না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তাঁর সাজার বিরুদ্ধে আপিল হবে এবং তা উচ্চ আদালতে শুনানি হবে। গুরুত্বপূর্ণ হলো, এর মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের প্রতিযোগী সবার কাছে এই বার্তা যাবে– এক সময় ইমরান খান যেমন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন, তিনি এখন আর তা নন। এমনকি তিনি তাঁর জনপ্রিয়তা ফিরে পেলেও কিছু আসে যায় না।