চলতি বছর ডেঙ্গুর পিক সিজন না পেরুতেই দেশের ইতিহাসে এর কারণে এ যাবৎকালের সব মৃত্যুর রেকর্ড তৈরি হয়েছে ০৩ আগস্ট, ২০২৩। এই দিনে এ বছরের ডেঙ্গুমৃত্যু সংখ্যা ২৮৪ জনে পৌঁছেছে। অথচ ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ চলতে থাকলেও রোগের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমার লক্ষণ নেই। রেকর্ড ভেঙে আগামী দিনের জন্য বিরাট অশনি সংকেত নিয়ে এসেছে ডেঙ্গুর গণসংক্রমণভীতি। সারাদেশে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের চিন্তার অন্ত নেই। তারা একে অপরের সমালোচনা করতে পিছ্পা হচ্ছেন না।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, ‘এখনই ডেঙ্গুর মহামারি চলছে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর হলো ডেঙ্গুর মৌসুম। তাই এখন থেকে মশক নিধন কার্যক্রম সত্যিকার অর্থে চালাতে হবে। নইলে মহামারি ভয়াবহ রূপ নেবে।’প্রতিটি ঘরের ভিতরে, আঙ্গিনায় ও ভবনের ছাদের বাগানের মশা বাসিন্দাদের নিজ উদ্যোগে মারার ব্যবস্থা করতে হবে। আর ঘরের বাইরের মশা সিটি করপোরেশনকে মারতে হবে।